Skip to main content

কেন সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বের প্রমান জানতে হবে !

অনেকেই আপনাকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারে এমনকি আপনার নিজেরও হঠাৎ সন্দেহ হতে পারে সৃষ্টিকর্তা আছে কি নাই।

💎 ইসলামিক যুক্তিঃ

💭 হযরত ইমাম আবু হানিফার একটা ঘটনা, একদিন বিতর্ক অনুষ্ঠানে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণের উদ্দেশ্যে তাকে দাওয়াত করা হয়েছিল তিনি নির্ধারিত সময়ের অনেক বিলম্বে সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ায় তাকে প্রশ্ন করা হলো, আপনি এত দেরিতে কেন আসলেন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন আমার আসার পথে একটা নদী থাকায় ও নদীতে কোনো নৌকা ও মাঝি না থাকায় অনেক অপেক্ষা করার পর দেখলাম হঠাৎ একটা গাছ আপনি-আপনি মাটিতে কয়েক খন্ড হয়ে পড়ে গেল তা আপনি-আপনি তখতাতে পরিণত হয়ে জোড়া লেগে নৌকা হয়ে আমাকে নদী পার করে আমাকে এ পার নামিয়ে দিল এ কারণে আমার আসতে অনাকাঙ্খিত দেরি হয়ে গেছে। এ জবাব শুনার পর সভায় উপস্থিত এক নাস্তিক পন্ডিত প্রশ্ন করেন আপনি তো একজন পাগল ছাড়া আর কিছু নন।
এরূপ অসম্ভব অবাস্তব কোন কর্মকান্ড কি কোন দিন কোথা ও কোন সুদক্ষ কর্মকার ব্যতীত হতে পারে? নাস্তিক পন্ডিতদের এ কথার জবাবে  ইমাম হানিফা (রহঃ) বললেন তাহলে আপনি বলুন সামান্য একখানা নৌকা তৈরি বা সৃষ্টি হতে যদি কোন সুদক্ষ মিস্ত্রি বা কর্মকার ছাড়া সম্ভব না হয় তাহলে এ-বিশাল পৃথিবী ও তার মধ্যস্থিত যাবতীয় বিশাল বিশাল আকারের অগণিত সৃষ্টি কোন সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কিভাবে সম্ভব? ইমাম সাহেবের এমন সুদৃঢ় যুক্তিপূর্ণ বলিষ্ঠ জবাবে নাস্তিক পন্ডিত হতবাক ও নিরুত্তর হতে বাধ্য হলো। এবং আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করা ছাড়া গত্যন্তর থাকলো না।

💭 সমগ্র ইতিহাস জুড়ে প্রত্যেকটি সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে কিছু নিয়ম রয়েছে। প্রত্যেকের রয়েছে ভাল-মন্দের জ্ঞান। খুন করা, মিথ্যা কথা বলা, চুরি করা এবং অনৈতিক কাজ করা- প্রায় সার্বজনীনভাবে বর্জন করা হয়েছে। যদি একজন পবিত্র ঈশ্বর না থাকেন, তাহলে এইরকম ভাল ও মন্দ বুঝবার জ্ঞান কোথা থেকে আসে?

💎 বৈজ্ঞানিক যুক্তিঃ

💭 অনেকে বলেন, সৃষ্টিকর্তা নেই ও মহাবিশ্ব নাকি হঠাৎ বিস্ফোরণ (বিগ বেঙ থিউরী) থেকে সৃষ্টি। মহাশূন্য, ছায়াপথ, গ্রহ-নক্ষত্র, ও বিলিয়ন বিলিয়ন প্রজাতি তথা প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগত সহ এই ন্যাচারাল মহাবিশ্ব সবকিছু সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো। বিজ্ঞান বলে, হঠাৎ বিস্ফোরণের ফলে যে কোন পদার্থ বিক্ষিপ্ত অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে বাধ্য। এই  বিস্ফোরণের থিউরী অনুযায়ী কিভাবে সবকিছু সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতে পারে! সূক্ষ্মভাবে চিন্তা করলে বুঝবেন। যাহোক, প্রাণীজগত ও উদ্ভিদজগত সহ এই ন্যাচারাল মহাবিশ্ব যেহেতু আছে সেহেতু তার একজন সৃষ্টিকর্তা থাকতেই হবে। এটি একটি অবজেক্টিভ ও অখণ্ডনীয় যুক্তি।”

💭আপনি যদি বলেন এক মহাবিস্ফোরণের ফলে এই নিখুঁত সিস্টেমটা তৈরি হয়েছে, সেটা খুব লজিক্যাল কথা হবে না। ব্যাপারটা অনেকটা দুইটা ফেরারি এবং পোরশে গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষে একটা বিএমডব্লিউ গাড়ি তৈরি হওয়ার মতো।

💭কেউ যদি বলেন এই বিস্ফোরণের আগে কি ছিল, তাহলে অনেকে singularity-র কথা বলবে। সেটা কিভাবে হলো? এভাবে আপনি যে পথেই আগান না কেন আপনাকে এক সময় থামতেই হবে। আপনাকে কোনো একটা কিছু বা কোনো পয়েন্টকে constant বা reference ধরতেই হবে। এরপর সেটার ক্ষেত্রে বলতে হবে, ‘এটাকে কেউ সৃষ্টি করে নি। এটা আগে থেকেই ছিল। সুতরাং, এমন কিছুর অস্তিত্ব সবসময় থেকেই যাচ্ছে যাকে আমরা বিলীন করতে পারছি না। তখন আমাদের এই অদৃশ্য সত্ত্বাকে স্রষ্টা বলতে হবে।

💭 আপনার কাছে ইলেকট্রনিক্স এর কোন জিনিস এর ডিজাইন কেউ চাইলে আপনি বলবেন, ইলেকট্রনিক্স এর ঐ জিনিসের নির্মাতা বা প্রস্তুতকারক কোম্পানির কাছে যেতে। অতএব বুঝতেই পারছেন আমি এখন কি বলতে যাচ্ছি, ঠিকই বুঝেছেন। এই সবকিছু সুন্দর সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো মহাবিশ্বেরও নির্মাতা ছাড়া ডিজাইন অবশ্যই সম্ভব নয়।

💭 ঈশ্বরের অস্তিত্ব সম্পর্কে আসল বৈজ্ঞানিক যুক্তি হচ্ছে, সৃষ্টিতত্ত্বের যুক্তি। কোন কিছু ঘটলে তার কারণ অবশ্যই থাকে। এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড এবং যা কিছু সৃষ্টি, তা অবশ্যই কোন ঘটনার ফল। অবশ্যই এমন কিছু কারণ ঘটেছে, যার ফলে সবকিছুর অস্তিত্ব প্রকাশ পেয়েছে। চুড়ান্তভাবে, কারণ ছাড়া অবশ্যই এমন কিছু আছে, যার কারণে সবকিছুই অস্তিত্ব প্রাপ্ত হয়েছে। আর এই ‘কারণ ছাড়াই’ কারণ হচ্ছে ঈশ্বর।

💭একটা মোবাইল ফোনের প্রধান উপাদান হলো বালি। যেটা হলো ভিতরের সেমিকন্ডাক্টর চিপের উপাদান আর উপরের কেসিংটা প্লাস্টিকের তৈরি। এখন একটা প্লাস্টিককে বালিতে মিলিয়ন মিলিয়ন বছর রেখে দিলে একটা প্রোগ্রামেবল মোবাইল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা (probability) কতটুকু?  কোন কিছু অটোমেটিক হয়ে যায় না।

💭 নিউটনের  প্রথম সূত্র: বাইরে থেকে কোন বস্তুর উপর বল প্রয়োগ না করলে, স্থির বস্তু চিরকাল স্থির থাকবে এবং গতিশীল বস্তু চিরকাল সমবেগে সরলরেখায় বা সরল পথে চলতে থাকে।  পদার্থের এই ধর্মকে বলা হয় জড়তা। এই
কারণে এই সূত্রকে জড়তা -এর সূত্র (Law of Inertia) বলা হয়। যে পদার্থের ভর যত বেশি তার জড়তা ততই বেশি। এখন এই সূত্র থেকে বুঝা যায় মহাবিশ্বের গতিশীল বস্তুগুলি গতিশীল রাখতে এবং স্থির বস্তু গতিশীল করতে (big bang theory) বাহিরে থেকে শক্তি দরকার হয়। এই শক্তিই সৃষ্টিকর্তা।

💭 অনেকেই বলেন, সময় ও মহাবিশ্বের স্হান ( time and space ) সৃষ্টি করার আগে সৃষ্টিকর্তা কি অবস্থায় ছিলেন।মনে কিছু নিবেন না। এই বিষয়টি বুঝার জন্য আপনাকে ডাইমেনশন বুঝতে হবে। ইনশাআল্লাহ আমি টেকনিক্যাল পারসন তাই আপনাদের বুঝিয়ে বলছি। একটু কস্ট করে পরুন দয়া করে স্কিপ করবেন না। সাধারণত ডাইমেনশন বলতে আমরা one, two এবং  three ডাইমেনশন বুঝি কিন্তু বাস্তবে আরও ডাইমেনশন রয়েছে। যেমন fourth ডাইমেনশন হল সময়। আমরা হচ্ছি third ডাইমেনশন ওয়াল্ড এর সদস্য। টাইম মেশিন আবিষ্কার করতে পারলে হয়ত আমরা fourth ডাইমেনশন ওয়াল্ড এর প্রানীদের কার্যকলাপ কিছুটা আন্দাজ করতে পারব সম্পূর্ন নয়। হয়ত আপনারা সাইন্সফিকশন মুভিতে thor, loki, thanos, odin ইত্যাদি চরিত্র দেখেছেন। এরা খুব সম্ভব fourth ডাইমেনশন ওয়াল্ড এর সদস্য। সময়কে ব‍্যবহার করত উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে এবং মানুষ থেকে এরা অবশ্যই উন্নত প্রযুক্তি আছে। সাইন্সফিকশনের কথা বাদ দেই, বাস্তবে fourth ডাইমেনশন ওয়াল্ড এর প্রানীদের সাথে এখনও যোগাযোগ করতে পারি নাই। তাহলে চিন্তা করেন fifth, sixth, seventh, eighth, ninth, tenth ডাইমেনশন আমাদের মাথায় কাজ করবে না। সৃষ্টিকর্তা এই ডাইমেনশনের উপরে। অর্থাৎ সময় তাকে কিছু করতে পারে না। অতএব, সৃষ্টি করার আগে সৃষ্টিকর্তা কি অবস্থায় ছিলেন এই প্রশ্ন সৃষ্টিকর্তার কাছে হাস‍্যকর ঠিক unlimited ডাইমেনশন এর মত যা আমাদের দ্বারা বুঝা সম্ভব নয়। এ থেকে বুঝা যায় সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আছেন।

💭
📝 শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের মতে, ‘আমাকে যা অভিভূত করে তা হচ্ছে জীবনের স্থাপত্য। ব্যবস্থাটি ভীষণরকম জটিল। এটা দেখে মনে হয় এটা পরিকল্পিত। এর পেছনে বিশাল বুদ্ধিমত্তা রয়েছে।’
📝 ‘আমি মহান স্রষ্টাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই তাঁর অসীম দয়ার জন্য, যিনি আমাকে সুযোগ দিয়েছেন শত শত বছর ধরে লুকায়িত অপার সৌন্দর্য পর্যবেক্ষণের জন্য।’ -বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী - গ‍্যালিলিও ।
📝 ‘আমরা এখানে এসেছি একজন বুদ্ধিমান সৃষ্টিকর্তার ফসল হিসেবে যিনি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়েই আমাদের সৃষ্টি করেছেন। আমাদের এবং গোটা প্রাণিজগতের সৃষ্টি মহান স্রষ্টার সুচিন্তিত ফসল।’ -ফিলিপ জনসন, মার্কিন বিজ্ঞানী।
📝 ‘তিনি (ঈশ্বর) অনন্ত ও অসীম। সর্বশক্তিমান ও সর্বজ্ঞ। তাঁর স্থায়ীত্ব অনন্তকাল থেকে অনন্তকাল পর্যন্ত বিস্তৃত। তাঁর উপস্থিতি অসীম থেকে অসীমে। তিনি সবকিছুই জানেন, সবকিছুই করেন, যা করা যায় কিংবা যা করা সম্ভব। আমরা তাঁকে শুধু অনুভব করি তাঁর বিজ্ঞ ও অনন্য উদ্ভাবনী সৃষ্টির মাধ্যমে। আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা করি ও ভালোবাসি তাঁর অনুগত দাস হিসেবে।’ -স্যার আইজ্যাক -নিউটন, ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম বিজ্ঞানীদের অন্যতম
📝 ‘বিশ্বাসের মাধ্যমে আমরা তাঁর অস্তিত্বের কথা জানি এবং তাঁর মহিমার মাধমে আমরা তাঁর স্বরূপ বুঝতে পারবো।’
- প‍্যাসকেল, আধুনিক গণিতের জনক ।
📝 ‘এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা ঈশ্বর এবং এই বিশ্বাস বিজ্ঞানীদের একটি আবশ্যিক গুণ।’
-ম্যাক্স প্ল‍্যাংক, বিখ্যাত জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী।
📝 ‘আমার ইচ্ছা ছিল একজন ধর্মতত্তবিদ হবো, কিন্তু আমি এখন আমার ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফলে দেখছি জ্যোতির্বিজ্ঞানের মাঝেও আছে ঈশ্বরের অস্তিত্বের মহিমা, কারণ মহাকাশ ঈশ্বরের মহিমা ঘোষণা করে।’ - কেপলার , আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানের জনক।
📝 ‘প্রতিটি ঘড়ি যেমন প্রমাণ করে যে এর পেছনে একজন নির্মাতা আছে তেমনি প্রকৃতির পরিকল্পনা প্রমাণ করে যে এর পেছনে একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন।’
-উইলিয়াম পলি, বিখ্যাত জীববিজ্ঞানী।

🍀 পরিশেষে এটাই বলব, উপরের বিষয়গুলি বুঝার পরেও third ডাইমেনশন ওয়াল্ড এর সদস্য হয়েও যদি কেউ সৃষ্টিকর্তা অবিশ্বাস করে তা হলে আমার আর কিছুই বলার নাই। ভাল থাকবেন।

Comments

Popular posts from this blog

কেন ! কেন ! মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে শিশু ধর্ষক বা শিশু কামী বলা যাবে না ! যাবে না !

আমরা যারা মুসলিম সবাই এই একটি কথা অবশ্যই বিশ্বাস করি সেটা হল পবিত্র কুরআনে যা বলা আছে তা একশত ভাগ সত্য। কিন্তু অবশ্যই কর্তব্য এমন একটি কাজ আছে যেটা করার সময় আমাদের  অনেকেরই হয় না আমাদের দৈনন্দিন ব‍্যস্ততার কারণে। আর সেই কাজটি হল পবিত্র কুরআনে যা বলা আছে তা বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগ করা। পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদীস ঠিক মত না জানার কারণে আমরা অনেকেই বিভ্রান্তির শিকার হই কিছু মানুষের দ্বারা যারা পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদীস দিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, আমরা সঠিকভাবে পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদীস না জানার কারণে এই বিভ্রান্তির শিকার হই। অনেক বিভ্রান্তিকর প্রশ্নগুলোর মধ‍্যে একটি স্পর্শকাতর প্রশ্ন যেটা ইনশাআল্লাহ আজকে আলোচনা করব। প্রশ্নঃ মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কি শিশু ধর্ষক বা শিশু কামী ছিলেন ? উত্তরঃ মূল বক্তব্যঃ রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের সময় সাহাবীর সংখ্যা ছিল প্রায় এক লাখ চৌদ্দ হাজার। তাদের সব সময় রাসূল (সা.) এর কাছে থেকে তাঁর সকল কথা শুনা বা সকল কাজ দেখা সম্ভব ছিল না। তাই অধিকাংশ সাহাবীর জানা থাকা হাদীসের মধ্যে কিছু ছিল রাসূল (সা.) এর নিকট থেকে সরাসরি শুনা বা দে

ইসলাম দাসপ্রথাকে কিভাবে মানবিক করেছে

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকেরই  ইসলামে দাস দাসী নিয়ে খারাপ ধারণা আছে আবার এমন অনেকে আছেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন থেকে জবাব দিতে পারি না এমনকি হুজুরের জবাবেও মনে শান্তি পাই না। এর ফলে আস্তে আস্তে অনেকেরই ইসলামের প্রতি বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। তারা ধৈর্য্য সহকারে এই লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইল আশা করি এ বিষয়ে পরিস্কার ধারণা আসবে এবং inshAllah, অন্যকে বিভ্রান্ত থেকে বাঁচাতে পারবেন। ইসলাম দাস প্রথার প্রবর্তক নয়; খুব সম্ভবত সেই আদিম বর্বরতার যুগে দাস প্রথার উৎপত্তি হয়েছিল এবং তা লিখিত ইতিহাসের পুরোটা ব্যাপী বিশ্বের প্রধান প্রধান সভ্যতার বৈশিষ্ট্য ছিল। দাস প্রথা ব্যাবিলনিয়া এবং মেসোপটেমিয়াতেও প্রচলিত ছিল। খ্রিস্টান ধর্মের আবির্ভাবের পূর্বে প্রাচীন মিশর, গ্রীস ও রোমিও দাস প্রথা বিশেষ লক্ষনীয় ছিল। দাসত্ব (ইংরেজি: Slavery বা Thralldom) বলতে বোঝায় কোনো মানুষকে জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করা, এবং এক্ষেত্রে কোনো মানুষকে অন্য মানুষের অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। সাধারণত দুই ভাবে দাস দাসী হয়। যেমনঃ ✅ একঃ অভাব, দুর্ভিক্ষ, নদী ভাঙন, পরিবারের উপার্জনকারী সদস্যের মৃত্যু প্রভৃতি দুর্যোগ কবলিত ব

About Me

My photo
সত্য কথা
I have an interest in writing about the real truth of Islam. Study: I have completed BSC Engineering.