Skip to main content

কেন ! কেন ! মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে শিশু ধর্ষক বা শিশু কামী বলা যাবে না ! যাবে না !

আমরা যারা মুসলিম সবাই এই একটি কথা অবশ্যই বিশ্বাস করি সেটা হল পবিত্র কুরআনে যা বলা আছে তা একশত ভাগ সত্য। কিন্তু অবশ্যই কর্তব্য এমন একটি কাজ আছে যেটা করার সময় আমাদের  অনেকেরই হয় না আমাদের দৈনন্দিন ব‍্যস্ততার কারণে। আর সেই কাজটি হল পবিত্র কুরআনে যা বলা আছে তা বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগ করা।
পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদীস ঠিক মত না জানার কারণে আমরা অনেকেই বিভ্রান্তির শিকার হই কিছু মানুষের দ্বারা যারা পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদীস দিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, আমরা সঠিকভাবে পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদীস না জানার কারণে এই বিভ্রান্তির শিকার হই। অনেক বিভ্রান্তিকর প্রশ্নগুলোর মধ‍্যে একটি স্পর্শকাতর প্রশ্ন যেটা ইনশাআল্লাহ আজকে আলোচনা করব।

প্রশ্নঃ মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কি শিশু ধর্ষক বা শিশু কামী ছিলেন ?

উত্তরঃ

মূল বক্তব্যঃ

রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের সময় সাহাবীর সংখ্যা ছিল প্রায় এক লাখ চৌদ্দ হাজার। তাদের সব সময় রাসূল (সা.) এর কাছে থেকে তাঁর সকল কথা শুনা বা সকল কাজ দেখা সম্ভব ছিল না। তাই অধিকাংশ সাহাবীর জানা থাকা হাদীসের মধ্যে কিছু ছিল রাসূল (সা.) এর নিকট থেকে সরাসরি শুনা বা দেখা আর কিছু ছিল অন্য সাহাবীর নিকট থেকে শুনা বা দেখা। খুলাফায়ে রাশেদীনের সময় পর্যন্ত হাদীস সংরক্ষণ, সংকলন ও প্রচার পদ্ধতি
রাসূল (সা.) যতদিন জীবিত ছিলেন ততোদিন কারো পক্ষে তাঁর নামে মিথ্যা কথা প্রচার করা, রাসূলের কথাকে তাঁর কথা নয় বলে উড়িয়ে দেয়া এবং রাসূল (সা.) এর কোন কথার অপব্যাখ্যা করে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার সুযোগ ছিল না। কারণ, তেমন কিছু ঘটলেই সাহাবায়ে কিরামগণ রাসূল (সা.) এর নিকট জিজ্ঞাসা করে সহজেই তার সমাধান করে নিতে পারতেন। রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের পর এই সুযোগটি আর থাকে না। কিছু মুনাফিকও  রাসূল (সা.) এর নামে মিথ্যা হাদীস রচনা করারও চেষ্টা করে।প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর (রা.) ঐ মুনাফিক মুরতাদদের কঠোর হস্তে দমন করেন। তিনি নিজে ৫০০ (পাঁচশত) হাদীসের এক সংকলন তৈরি করেছিলেন। কিন্তু জীবনের শেষ ভাগে তিনি নিজেই তা নষ্ট করে দেন। এর কারণ হিসেবে মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণ দু’টি বিষয় উল্লেখ করেছেন-
১. তিনি বিশেষভাবে চিন্তিত হয়ে পড়েন যে, তাঁর সংকলিত হাদীসে একটি শব্দও যদি রাসূল (সা.) এর মূল বাণীর বিন্দুমাত্র বিপরীত বা পরিবর্তন হয়ে পড়ে তবে রাসূল (সা.) এর সতর্কবাণী অনুযায়ী তাঁকে জাহান্নামে যেতে হবে।
২. তাঁর মনে এ ভয়ও জাগ্রত হয় যে, তাঁর সংকলিত হাদীস গ্রন্থকে মুসলিম জনগণ, যদি কুরআনের সমতুল্য মর্যাদা দিয়ে বসে , তা হলে ইসলামের বিশেষ ক্ষতি হবে।
দ্বিতীয় খলীফা ওমর ফারুক (রা.) এর দৃষ্টিতেও ইসলামের ভিত্তি হিসেবে কুরআনের পরই ছিল সুন্নাহ তথা রাসূল (সা.) এর হাদীসের স্থান। তিনিও আবু বকর (রা.) এর ন্যায় হাদীস বর্ণনা ও গ্রহণের ব্যাপারে কঠোরতা অবলম্বন করেন। দিন যত যেতে থাকে মুসলিম সমাজে তত নিত্য নতুন পরিস্থিতি ও সমস্যার উদ্ভব হতে থাকে। মুসলিম জনসাধারণের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাসূল (সা.) এর কথা জানা জরুরি হয়ে পড়ে। ফলে জীবিত সাহাবীগণ তাদের জানা থাকা হাদীস বর্ণনা করতে বাধ্য হন। অপরদিকে সংগ্রহ, বাছাই-ছাঁটাই ও সংকলনের পর সহীহ হাদীসের সমন্বয়ে উন্নত ধরনের গ্রন্থ প্রণয়নের কাজও বিশেষ গুরুত্ব, মর্যাদা, ব্যাপকতা ও গভীরতা সহকারে সুসম্পন্ন হয়। এ বিরাট ও দুরূহ কাজের জন্যে যারা আবির্ভূত হন-
১. ইমাম বুখারী (রহ). (১৯৪-২৫৬ হিঃ)
২. ইমাম মুসলিম (রহ.) (২০৪-২৬১ হিঃ)
৩. ইমাম নাসায়ী (রহ.) (২১৫-৩০৩ হিঃ)
৪. ইমাম আবু দাউদ (রহ.) (২০২-২৭৫ হিঃ)
৫. ইমাম তিরমিযী (রহ.) (২০৯-২৭৯ হিঃ)
৬. ইমাম ইবনে মাজাহ (রহ.) (২০৯-২৭৩ হিঃ)
এই ছয়জন মহৎ ব্যক্তি যে হাদীস গ্রন্থ সংকলন করেন সেগুলোই হচ্ছে সর্বাধিক সহীহ হাদীস গ্রন্থ। এ গ্রন্থসমূহ ব্যাপকভাবে প্রচারিত ও পঠিত। বর্তমান মুসলিম বিশ্বে এমন কোন স্থান পাওয়া যাবে না যেখানে বুখারী শরীফ পাওয়া যাবে না।
এবার মূল কথায় যাই - -
পবিত্র কুরআন আল্লাহর বাণী অবশ্যই এর মধ্যে কোন ভুল নাই এবং এটিতে রয়েছে অসংখ্য সাইন বা সংকেত যা ব‍্যাখ‍্যা করার জন্য হাদীসের প্রয়োজন। কিন্তু হাদীসের কোন ব‍্যাখ‍্যা যদি পবিত্র কুরআনের বিরুদ্ধে যায় তাহলে ঐ হাদীস বর্জন করতে হবে।

N.B: বুখারী শরীফের সংকলনকালে তিনি সর্বদা রোজা রাখতেন এবং প্রতিটি হাদীস গ্রন্থ সন্নিবেশিত করার আগে গোসল করে দু' রাকাত নফল নামাজ আদায় করে মুরাকাবা ও ধ্যানের মাধ্যমে হাদীসের বিশুদ্ধতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতেন। তিনি ৬ লাখ হাদিস হতে যাচাই বাছাই করে সর্বসাকুলে ১৬ বছর নিরলস সাধনা করে এ প্রসিদ্ধ গ্রন্থখানি প্রণয়ন করেন এবং ইমাম মুসলিম (রহ.) দীর্ঘ পনের বছরের সাধনায় তিন লাখ হাদিস থেকে যাচাই-বাছাই করে ‘সহিহ্ মুসলিম’ শরিফ সংকলন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি এ গ্রন্থখানা আবু জুরআ আর-রাজির কাছে পেশ করেছি। তিনি যে যে হাদিসের সনদে দোষ আছে বলে ইঙ্গিত করেছেন, আমি তা পরিত্যাগ করেছি, আর যে যে হাদিস সম্পর্কে মত দিয়েছেন যে এগুলো সহিহ, আমি সেগুলো গ্রন্থে সন্নিবেশিত করেছি।’

অতএব, বুঝা যায় যে, সহিহ হাদীস সংকলন যাতে বিশুদ্ধ হয় তার জন্য ইমাম বুখারী (রহ), ইমাম মুসলিম (রহ.) ও অন্য চার মহৎ ব্যক্তি যে পরিশ্রম করেছেন তার জন্য আল্লাহ্ যেন তাদেরকে জান্নাত বাসী করেন। কিন্তু এত পরিশ্রমের পরেও এই সহিহ হাদীসের সব হাদীস বিশুদ্ধ নাও হতে পারে কারণ মানুষ হিসাবে ভুল হতেই পারে। কেন এই কথা বললাম নিচে উদাহরণ দিচ্ছি - -

সহিহ হাদীস শরীফে দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছেঃ

হাদীস ক).
এক জায়গায় পাওয়া গেছে , রাসূল (সাঃ) এর সাথে  হযরত আয়শা (রাঃ) র দাম্পত্য জীবন শুরু হয়  মাত্র ৯ বছর বয়সে।

হাদীস খ).
আর এক জায়গা থেকে তথ্য পাওয়া গেছে, রাসূল (সাঃ) এর সাথে  হযরত আয়শা (রাঃ) র দাম্পত্য জীবন শুরু হয়  ১৯ বছর বয়সে।

এখানে একই সময়ে, একজন মানুষের ক্ষেত্রে 🕛  
হাদীস ক).  ও
হাদীস খ).
একসাথে সত্যি হতে পারে না(probability theory)। অর্থাৎ একই দিনে একজনের দাম্পত্য জীবন শুরুর বয়স ৯ বছর ও ১৯ বছর হতে পারে না।
একজনের ক্ষেত্রে যে কোন একটি বয়স হতে হবে। হয় ৯ বছর না হয় ১৯ বছর।

এইক্ষেএে আমাদের দেখতে হবে পবিত্র কুরআনে কি বলে ৯ বছর না  ১৯ বছর।
রেফারেন্স সহ বিস্তারিত exploration method ১ এ আলোচনা করা হয়েছে।

একটি কথা। আপনাদের ভাল অঙ্কের মাষ্টার হতে হবে না যারা টুকটাক অঙ্ক করতে পারেন সহজ এই অঙ্কগুলো তারাও বুঝতে পারবেন কিন্তু দরকার হবে কেবল একটা জিনিস সেটা হচ্ছে ধৈর্য্য। তাহলে exploration method গুলো শুরু করা যাক এই প্রশ্নটি টার্ন করার মাধ্যমে  - -

প্রশ্নঃ মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কি শিশু ধর্ষক বা শিশু কামী ছিলেন ?

Exploration Method ১ঃ

সহিহ বুখারী শরীফে দুই রকম তথ্য পাওয়া গেছেঃ

⏩⏩হাদীস ক). ⏩⏩
এক জায়গায় পাওয়া গেছে , রাসূল (সাঃ) এর সাথে  হযরত আয়শা (রাঃ) র দাম্পত্য জীবন শুরু হয় মাত্র ৯ বছর বয়সে।

উৎস সহীহ বুখারীঃ
📝  হাদীস নংঃ ৫১৩৩. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাঁকে বিয়ে করেন তখন তাঁর বয়স ছিল ৬ বছর এবং নয় বছর বয়সে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামতাঁর সঙ্গে বাসর ঘর করেন এবং তিনি তাঁর সান্নিধ্যে নয় বছরকাল ছিলেন। [৩৮৯৪](আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৫৭)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ  সহীহ বুখারী (তাওহীদ)  ৬৭/ বিয়ে (كتاب النكاح)

📝  হাদীস নংঃ ৫১৩৪. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, যখন তাঁর ছয় বছর বয়স তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বিয়ে করেন। তিনি তাঁর সঙ্গে বাসর করেন নয় বছর বয়সে। হিশাম (রহ.) বলেন, আমি জেনেছি যে, ‘আয়িশাহ (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে নয় বছর ছিলেন। [৩৮৯৪](আধুনিক প্রকাশনী- ৪৭৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৫৮)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ  সহীহ বুখারী (তাওহীদ)  ৬৭/ বিয়ে (كتاب النكاح)

উৎস সহীহ মুসলিমঃ
📝 হাদীস নংঃ ৩৩৭০-(৬৯/১৪২২) আবূ কুরায়ব মুহাম্মাদ ইবনু 'আলা ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহু (রহিমাছমাল্লাহ) ... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিয়ে করেছেন, আমার বয়স তখন ছয় বছর। তিনি আমাকে নিয়ে বাসর ঘরে যান, তখন আমার বয়স নয় বছর। আয়িশাহ (রাযিঃ) বলেন, আমরা হিজরাত করে মাদীনায় পৌছার পর আমি একমাস যাবৎ জ্বরে আক্রান্ত ছিলাম এবং আমার মাথার চুল পড়ে গিয়ে কানের কাছে (কিছু) থাকে। (আমার মা) উম্মু রূমান আমার নিকট এলেন, আমি তখন একটি দোলনার উপরে ছিলাম এবং আমার কাছে আমার খেলার সাখীরাও ছিল। তিনি আমাকে উচ্চৈঃস্বরে ডাকলেন, আমি তার নিকট গেলাম।আমি বুঝতে পারিনি যে, তিনি আমাকে নিয়ে কী করবেন। তিনি আমার হাত ধরে আমাকে দরজায় নিয়ে দাঁড় করালেন। আমি তখন বলছিলাম, আহ, আহ। অবশেষে আমার উদ্বেগ দূরীভূত হল। তিনি আমাকে একটি ঘরে নিয়ে গেলেন। সেখানে আনসার মহিলাগণ উপস্থিত ছিলেন। তারা সকলে আমার কল্যাণ ও রহমাতের জন্য দুআ করলেন এবং আমার সৌভাগ্য কামনা করলেন। তিনি (মা) আমাকে তাদের নিকট সমর্পণ করলেন। তারা আমার মাথা ধুয়ে দিলেন এবং আমাকে সুসজ্জিত করলেন। আমি কোন কিছুতে ভীত শংকিত হইনি। চাশতের সময় রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এলেন এবং তারা আমাকে তার নিকট সমর্পণ করলেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৪, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৩)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ  সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)  ১৭। বিবাহ (كتاب النكاح)

📝 হাদীস নংঃ ৩৩৭১-(৭০/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইবনু নুমায়র (রহিমাহুমাল্লাহ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার ছয় বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিবাহ করেন এবং আমার নয় বছর বয়সে তিনি আমার সঙ্গে বাসর যাপন করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৫, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ  সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)  ১৭। বিবাহ (كتاب النكاح)

📝  হাদীস নংঃ ৩৩৭২-(৭১/...) আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ..... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তার সাত বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন। তাকে নয় বছর* বয়সে তার ঘরে বধুবেশে নেয়া হয় এবং তার সঙ্গে তার খেলার পুতুলগুলোও ছিল। তাঁর আঠারো বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৬, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৫)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ  সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)  ১৭। বিবাহ (كتاب النكاح)

📝  হাদীস নংঃ ৩৩৭৩-(৭২/...) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ ও আবূ কুরায়ব (রহিমাহুমুল্লাহ) ... আয়িশাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, তার ছয় বছর বয়সে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন, তার নয় বছর বয়সে তিনি তাকে নিয়ে বাসর যাপন করেন এবং আঠারো বছর বয়সে তিনি ইন্তিকাল করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৩৪৭, ইসলামীক সেন্টার ৩৩৪৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ  সহীহ মুসলিম (হাদীস একাডেমী)  ১৭। বিবাহ (كتاب النكاح)

📝  হাদীস নংঃ ৩৮৯৬. হিশাম এর পিতা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদিনার দিকে বের হওয়ার তিন বছর আগে খাদীজাহ (রাঃ)-এর মৃত্যু হয়। তারপর দু’বছর অথবা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত করে তিনি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-কে বিবাহ করেন। যখন তিনি ছিলেন ছয় বছরের বালিকা। তারপর নয় বছর বয়সে বাসর উৎযাপন করেন। (৩৮৯৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬১৪)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ  সহীহ বুখারী (তাওহীদ)  ৬৩/ আনসারগণ [রাযিয়াল্লাহু ‘আনহুম]-এর মর্যাদা (كتاب مناقب الأنصار)

উৎস সহীহ আবূ দাউদঃ
📝  হাদীস নংঃ ২১২১। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার সাত বছর বয়সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিয়ে করেন। সুলাইমানের বর্ণনায় রয়েছে ছয় বছর। আর তিনি আমার সাথে বাসর যাপন করেন আমার নয় বছর বয়সে। বুখারী, মুসলিম।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ  সুনান আবূ দাউদ (তাহকিককৃত)  ৬/ বিবাহ (كتاب النكاح)

⏩⏩হাদীস খ). ⏩⏩
আর এক জায়গা থেকে তথ্য পাওয়া গেছে, রাসূল (সাঃ) এর সাথে  হযরত আয়শা (রাঃ) র দাম্পত্য জীবন শুরু হয় ১৯ বছর বয়সে।

উৎস সহীহ বুখারীঃ
📁 অধ্যায়/পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৫৪/৯. ‘‘অধিকন্তু ক্বিয়ামাতে তাদের শাস্তির প্রতিশ্রুতিকাল এবং ক্বিয়ামাত বড়ই কঠোর ও তিক্ততর।’’ (সূরাহ আল-কামার ৫৪/৪৬)

📝  হাদীস নংঃ৪৮৭৬. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, بَلِ السَّاعَةُ مَوْعِدُهُمْ وَالسَّاعَةُ أَدْهٰى وَأَمَرُّ আয়াতটি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি মক্কা্য় অবতীর্ণ হয়েছে। আমি তখন কিশোরী ছিলাম, খেলাধূলা করতাম। [৪৯৯৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৫১২)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ  সহীহ বুখারী (তাওহীদ)  ৬৫/ কুরআন মাজীদের তাফসীর (كتاب التفسير)

এই হাদীস খ.) থেকে বুঝা যায়, হাদীসে বর্ণিত ৪৬নং আয়াতটি, ৫৪নং সূরা আল-কামার এর, যা হিজরীপূর্ব ৫ সালে মক্কায় অবতীর্ন হয়।
source:
নাজিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিত
google search:  সূরা আল-কামার-wikipedia

হযরত আয়শা (রাঃ) র সাথে নবীর বিয়ে হয় ১ম হিজরীতে এবং সূরা ৫৪ নাযিলের সময় আয়েশা (রাঃ) কিশোরী ছিলেন (মানে তখন কমপক্ষে ১০ বছর বয়স ছিল )।
source:
১. WHO অনুসারে কিশোরীর বয়স ১০ থেকে ১৮ বছর
২. google search: adolescence-wikipedia

note: (হাদীসটিতে আয়েশা (রাঃ) ঐ সময় “জারিয়া” ছিলেন মর্মে উল্লেখ আছে। “জারিয়া অর্থ কিশোরী”)

অঙ্কঃ

তাহলে বিয়ের সময় হযরত আয়শা (রাঃ) র বয়সঃ
💨সূরা ৫৪ নাযিলের সময় আয়েশা (রাঃ) কিশোরী ছিলেন= wikipedia ও WHO অনুসারে কমপক্ষে ধরি ১০ বছর বয়স (হিজরীপূর্ব ৫ সালে- ৬১৭ খৃঃ)
💨আয়েশার সাথে নবীর বিয়ে হয় ১ম হিজরীতে

সুতরাং হযরত আয়শা (রাঃ) র বিয়ের বয়স =
১০ বছর (কিশোর)+৫ বছর(হিজরীপূর্ব ৫ সালে)+১ বছর(১ম হিজরীতে বিয়ে)
=১০+৫+১
=১৬ বছর
দাম্পত্য জীবন শুরু হয় আরো ৩ বছর পরে (বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীস অনুসারে)
= ১৬ বছর+৩ বছর=১৯ বছর।


এখানে একই সময়ে এক জনের ক্ষেত্রে  🕛  
হাদীস ক).  ও
হাদীস খ).
একসাথে সত্যি হতে পারে না(probability theory)। অর্থাৎ একই দিনে একজনের  দাম্পত্য জীবন শুরুর বয়স ৯ বছর ও ১৯ বছর হতে পারে না।
একজনের ক্ষেত্রে যে কোন একটি বয়স হতে হবে। হয় ৯ বছর না হয় ১৯ বছর।

বিশ্লেষণ, হাদীস  ক).ও  খ). থেকে কোনটি গ্রহণযোগ্যঃ

পবিত্র কুরআনে যেটা বলা হবে সেটাই আমরা সত্য ধরে নিব। কারণ সহিহ হাদীসের কোন বিষয় বা রাসুল (সাঃ) এর জীনযাপন পদ্ধতি কোনভাবেই আল কুরআনের বক্তব্যের বিপরীত হতে পারেনা।

পবিত্র কুরআনে আছে,
📂 " আর এতীমদের প্রতি বিশেষভাবে নজর রাখবে, যে পর্যন্ত না তারা বিয়ের বয়সে পৌঁছে। যদি তাদের মধ্যে বুদ্ধি-বিবেচনার উন্মেষ আঁচ করতে পার, তবে তাদের সম্পদ তাদের হাতে অর্পন করতে পার। এতীমের মাল প্রয়োজনাতিরিক্ত খরচ করো না বা তারা বড় হয়ে যাবে মনে করে তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলো না। যারা স্বচ্ছল তারা অবশ্যই এতীমের মাল খরচ করা থেকে বিরত থাকবে। আর যে অভাবগ্রস্ত সে সঙ্গত পরিমাণ খেতে পারে। যখন তাদের হাতে তাদের সম্পদ প্রত্যার্পণ কর, তখন সাক্ষী রাখবে। অবশ্য আল্লাহই হিসাব নেয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট। [সুরা নিসা: ৬]

📂 তোমরা কিরূপে তা গ্রহণ করতে পার, অথচ তোমাদের একজন অন্য জনের কাছে গমন কর এবং নারীরা তোমাদের কাছে থেকে সুদৃঢ় অঙ্গীকার গ্রহণ করেছে। [সুরা নিসা: ২১]

💨 উপরে উল্লিখিত দুটি আয়াত অনুসারে, নারীদের বিয়ে করার যোগ্য হতে হলে তাদের সর্বনিম্ন বয়স পৌঁছাতে হবে যেখানে

1.তিনি বোধ সম্পন্ন হবেন (উভয় শারীরিক এবং মানসিক) (4: 6)

2.তিনি নিজের আর্থিক, ব্যবসায়, সম্পত্তি ইত্যাদি বজায় রাখতে সক্ষম। (4: 6)

3.চুক্তি স্বাক্ষর করার ক্ষমতা (4:21)

তাই, বিবাহ যোগ্য নারীদের অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট বয়স পৌঁছতে হবে যেখানে সে নিজের সম্পত্তির যত্ন নিতে, সম্মতি দিতে এবং চুক্তি সাইন করতে সক্ষম পর্যায়ে পরিণত হয়।

এই বিষয়গুলি ৬ কেন ১২ বছরের মেয়ে দের দিয়েও সম্ভব নয় এবং এই ক্ষেত্রে

⏩হাদীস ক. ⏩
-প্রাধান‍্য পাওয়ার মত না।

⏩হাদীস খ. ⏩
- প্রাধান্য পেয়েছে ।

বুখারী শরীফের আরেকটি হাদীসে আছে,

📁 অধ্যায়/পরিচ্ছেদঃ ৬৭/৩. বিয়ে করার যার সামর্থ্য নেই, সে সওম পালন করবে।

📝  হাদীস নংঃ৫০৬৬. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন,নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে আমরা কতক যুবক ছিলাম; আর আমাদের কোন কিছুছিল না। এই হালতে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, হে যুব সম্প্রদায় ! তোমাদের মধ্যে যারা বিয়ে করার সামর্থ্য রাখে, তারা যেন বিয়ে করে। কেননা, বিয়ে তার দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান হিফাযত করে এবং যার বিয়ে করার সামর্থ্য নেই, সে যেন সওম পালন করে। কেননা, সওম তার যৌনতাকে দমন করবে। [১৯০৫](আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৯৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৯৬)

এই হাদীসে কেবলমাত্র যুবক-যুবতীদের দ্রুত বিয়ে করতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উৎসাহ দিলেন ।

সবকিছুর বিবেচনায় - -
হাদীস খ. ( আয়েশা রাঃ র দাম্পত্য জীবন শুরু হয় ১৯ বছর বয়সে।)
- - গ্রহনযোগ‍্য হবে।


হাদীস ক.
- - গ্রহনযোগ‍্যতা না পাবার কারণে ইমাম বুখারী (রহ) ও ইমাম মুসলিম (রহ.) কে দোষ দেয়া যাবে না কারণ তারা শতভাগ সহিহ হাদীস সংকলনের জন্য অনেক পরিশ্রম করেছেন, উপরের লেখায় আপনারা তার কিছুটা পড়েছেন। মহান আল্লাহ্ তাদেরকে এই অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য জান্নাতবাসী করুণ। আমিন।

💭 💭 💭  পরিশেষে আমরা সহজেই exploration method ১ থেকে বুঝতে পারলাম, সে সময় হযরত আয়শা (রাঃ) র দাম্পত্য জীবন শুরু  ৯ বছর বয়সে, মর্মে তথ্যটি মস্তবড় এক ঐতিহাসিক ভ্রান্তি। পবিত্র কুরআন ও তাকে সাপোর্ট করা হাদীস খ. অনুসারে বলা যায়, আয়েশা রাঃ র দাম্পত্য জীবন শুরু হয় কমপক্ষে ১৯ বছর বয়সে ।

Exploration Method ২ঃ

📁নাফি’রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রা. উহুদ যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য রাসূল সা. এর কাছে অনুমতি চাইলে রাসূল সা. তাঁকে অনুমতি দেননি। তখন তাঁর বয়স ছিল চৌদ্দ বছর। পরের বছর খন্দকের যুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য অনুমতি চাইলে তাঁকে যুদ্ধে যাবার অনুমতি দেওয়া হয়। তখন তাঁর বয়স ছিল পনেরো বছর। রাবী নাফি রা. বলেন, এ ঘটনা শুনে খালীফা উমার ইবনু আবদিল আযীয রা. বললেন, এটাই হলো শিশু ও বয়স্কদের বয়সসীমা। (ইমাম, আস-সাহীহ, অধ্যায়- আল-ইমারাহ্, অনুচ্ছেদ : বায়ানু সিন্নিল বুলুগ, হা. নং : ৪৯৪৪)

নিচের হাদীসে দেখা যায়, উম্মু সুলাইম (রাঃ) ও হযরত আয়শা (রাঃ) এক সাথে উহুদের যুদ্ধে ছিলেন।

📁 অধ্যায়/পরিচ্ছেদঃ ৫৬/৬৫. নারীদের যুদ্ধে গমন এবং পুরুষদের সঙ্গে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ

📝  হাদীস নংঃ২৮৮০. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উহুদের যুদ্ধে সহাবীগণ নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেন। আমি দেখলাম, ‘আয়িশাহ বিন্তে আবূ বাকর ও উম্মু সুলাইম (রাঃ) তাঁদের অাঁচল এতটুকু উঠিয়ে নিয়েছেন যে, আমি তাঁদের উভয় পায়ের গহনা দেখছিলাম। তাঁরা উভয়েই মশক পিঠে বয়ে সহাবীগণের মুখে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন। আবার ফিরে গিয়ে মশ্ক ভর্তি করে নিয়ে এসে সহাবীগণের মুখে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন। (২৯০২, ৩৮১১, ৪০৬৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৭৯)

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)  বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ  সহীহ বুখারী (তাওহীদ)  ৫৬/ জিহাদ ও যুদ্ধকালীন আচার ব্যবহার (كتاب الجهاد والسير)

📁 অধ্যায়/পরিচ্ছেদঃ ২২. মহিলাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণ

📝  হাদীস নংঃ১৫৭৫। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উম্মু সুলাইম (রাঃ) ও তার সাথের আনসার মহিলাদের নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতেন। যুদ্ধক্ষেত্রে তারা পানি পান করাতেন এবং আহতদের জখমে ঔষধ লাগিয়ে দিতেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)  পুনঃনিরীক্ষণঃ  সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)  ১৯/ যুদ্ধাভিযান (كتاب السير عن رسول الله ﷺ)

সুতরাং উপরের তথ্য থেকে পাওয়া যায় হযরত আয়শা (রাঃ) ওহুদের যুদ্ধে নবীর সফরসঙ্গী ছিলেন। ওহুদের যুদ্ধে (৬২৫খ্রি) ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে ১৫ বছরের নিচে কাউকে যুদ্ধে নেয়া হয় নি। এর অর্থ দাড়ায় হযরত আয়শা (রাঃ) র বয়স ওহুদের যুদ্ধে (৬২৫খ্রি) ১৫ বছরের বেশি ছিল অর্থাৎ ১৬ বছর (কমপক্ষে)

আর ১ম হিজরীতে বা ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে আয়শা (রাঃ) র বিয়ে হয়। (১ম হিজরী = ৬২২ খ্রিষ্টাব্দ)
সুতরাং
৬২৫ খ্রিষ্টাব্দে=১৬ বছর(কমপক্ষে) হলে,
৬২২ খ্রিষ্টাব্দে=১৩ বছর(কমপক্ষে) হয়।
এই হিসাবে আয়শা (রাঃ) র বিয়ের সময় বয়স হয়
=১৩ বছর(কমপক্ষে)
দাম্পত্য জীবন আরো ৩ বছর পরে শুরু হলে বয়স হয়
= ১৩ বছর+৩ বছর
= ১৬ বছর(কমপক্ষে)


💭 💭 💭  পরিশেষে এই exploration method ২ থেকে এটাই বুঝা যায় , সে সময় যে হযরত আয়শা (রাঃ) র দাম্পত্য জীবন শুরু  ৯ বছর বয়সে ছিল না, তা বলাই বাহুল্য।

Exploration Method ৩ঃ

আসমা বিনতে আবি বকর ছিলেন প্রথম খলিফা আবু বকরের কন্যা। আয়শা (রাঃ)   তার সৎ বোন ছিলেন। আসমা বিনতে আবি বকর, আয়শা রাঃ থেকে ১০ বছরের বড় ছিলেন। আসমা বিনতে আবি বকর ৫৯৫  খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন।

যাচাইঃ (For Asma being 10 years older than Ayesha, see A`la’ma’l-nubala’, Al-Zahabi, Vol 2, Pg 289, Arabic, Mu’assasatu’l-risalah, Beirut, 1992. Ibn Kathir confirms this fact, [Asma] was elder to her sister [Ayesha] by ten years” (Al-Bidayah wa’l-nihayah, Ibn Kathir, Vol 8, Pg 371, Arabic, Dar al-fikr al-`arabi, Al-jizah, 1933)

check in wikipedia to family
source:
https://en.m.wikipedia.org/wiki/Asm%C4%81%27_bint_Abi_Bakr

যেহেতু আসমা বিনতে আবি বকর, আয়শা রাঃ থেকে ১০ বছরের বড় ছিলেন ও আসমা বিনতে আবি বকর ৫৯৫  খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন সেহেতু তথ্য মতে আয়শা রাঃ র জন্মগ্রহণ (৫৯৫+১০)=৬০৫ খ্রিষ্টাব্দে হওয়ার কথা। (বাংলা উইকিপিডিয়াতে নির্দিষ্ট করে জন্ম সাল বলা নেই এবং আনুমানিক কথাটি উল্লেখ করা হয়েছে , বলা হয়েছে আনুমানিক ৬১৩/৬১৪ খ্রিষ্টাব্দে আয়শা রাঃ জন্মগ্রহণ করেন।)

আর ১ম হিজরীতে বা ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে আয়শা (রাঃ) র বিয়ে হয়। (১ হিজরী = ৬২২ খ্রিষ্টাব্দ)

সুতরাং হযরত আয়শা (রাঃ) র বিয়ের বয়স
= ৬২২ খ্রিষ্টাব্দ - ৬০৫  খ্রিষ্টাব্দ
=১৭ বছর।
দাম্পত্য জীবন আরো ৩ বছর পরে শুরু হলে বয়স হয় (বুখারী ও মুসলিম শরীফের হাদীস অনুসারে)
= ১৭ বছর+৩ বছর
= ২০ বছর


💭 💭 💭  তাই আমরা সহজেই exploration method ৩ থেকে বুঝতে পারলাম, আয়শা (রাঃ) র দাম্পত্য জীবন শুরু হয় ২০ বছর বয়সের কাছাকাছি কোন এক বয়সে।

🌿🌿 পরিশেষে বলা যায় যে, বিয়ের সময় হযরত মা আয়েশা (রা)-এর দাম্পত্য জীবন শুরু  ৯ বছর বয়সে, তথ্যটি মস্তবড় এক ঐতিহাসিক ভ্রান্তি এবং কখনোই মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) শিশু ধর্ষক বা শিশু কামী ছিলেন না।

N.B: প্রিয় পাঠক, আশা করি এই বিষয়টা এতক্ষণ উপরের সূক্ষ হিসাব নিকাশ থেকেই বুঝতে পেরেছেন। তার পরেও যদি আপনার সন্দেহ থাকে তাহলে আপনাকে অনুরোধ করছি সম্পূর্ণ লেখাটি আবারও পড়ুন, বিশেষ করে exploration method গুলো সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করে বুঝতে চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।

Comments

Popular posts from this blog

কে গাণিতিক হিসাবে এগিয়ে ? সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ও সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসীর মধ্যে !

কাল্পনিক দুইটি নাম (রাহি, মাশা) দিয়ে একটি অংক বুঝার চেষ্টা করি যেখানে আমরা বুঝতে পারব সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ও সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসীর মধ্যে কে বেশি লাভবানঃ ধরি, মাশা = সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসী রাহি = সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী মাশার স্ত্রীর নাম   = মাহি রাহির স্ত্রীর নাম   = রানু বি. দ্রঃ রাহি ও মাশা একটি কোম্পানিতে প্রায় একই বয়সে (ধরি, ২৫ বছর বয়সে) একই সাথে খুব ছোট পোস্টে যোগদান  করে (কারণ তাদের পড়াশুনা খুবই কম ছিল) এবং তাদের বেতন সমান। পড়াশুনা খুবই কম থাকার কারণে তাদের বছরের পর বছর কাজ করার পরেও কোন প্রমোশন হচ্ছিল না। সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করার ফলে কোন ভয় না করে মাশা চাকরির পাশাপাশি অল্প কিছু টাকা দিয়ে সুদের ব‍্যবসা সহ লোক ঠকানোর কাজ শুরু করল এবং এই অবৈধ ব‍্যবসা থেকে আস্তে আস্তে লাভও হতে শুরু করল। অপরদিকে, সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করার কারণে রাহি চাকরির পাশাপাশি নিজে কষ্ট করে হলেও গরিবদের সাহায্য করত। রানু ও মাহি বান্ধবী। হঠাৎ তারা কি মনে করে একটি সিদ্ধান্তে আসল। সিদ্ধান্তটি হল, যদি বেঁচে থাকে জীবনের শেষ পর্যায়ে  তারা যাচাই করবে তাদের স্বামীদের মধ‍্যে কার ক্রেডিট বেশি। প্রায় ২৫ ব

ইসলাম দাসপ্রথাকে কিভাবে মানবিক করেছে

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকেরই  ইসলামে দাস দাসী নিয়ে খারাপ ধারণা আছে আবার এমন অনেকে আছেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন থেকে জবাব দিতে পারি না এমনকি হুজুরের জবাবেও মনে শান্তি পাই না। এর ফলে আস্তে আস্তে অনেকেরই ইসলামের প্রতি বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। তারা ধৈর্য্য সহকারে এই লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইল আশা করি এ বিষয়ে পরিস্কার ধারণা আসবে এবং inshAllah, অন্যকে বিভ্রান্ত থেকে বাঁচাতে পারবেন। ইসলাম দাস প্রথার প্রবর্তক নয়; খুব সম্ভবত সেই আদিম বর্বরতার যুগে দাস প্রথার উৎপত্তি হয়েছিল এবং তা লিখিত ইতিহাসের পুরোটা ব্যাপী বিশ্বের প্রধান প্রধান সভ্যতার বৈশিষ্ট্য ছিল। দাস প্রথা ব্যাবিলনিয়া এবং মেসোপটেমিয়াতেও প্রচলিত ছিল। খ্রিস্টান ধর্মের আবির্ভাবের পূর্বে প্রাচীন মিশর, গ্রীস ও রোমিও দাস প্রথা বিশেষ লক্ষনীয় ছিল। দাসত্ব (ইংরেজি: Slavery বা Thralldom) বলতে বোঝায় কোনো মানুষকে জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করা, এবং এক্ষেত্রে কোনো মানুষকে অন্য মানুষের অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। সাধারণত দুই ভাবে দাস দাসী হয়। যেমনঃ ✅ একঃ অভাব, দুর্ভিক্ষ, নদী ভাঙন, পরিবারের উপার্জনকারী সদস্যের মৃত্যু প্রভৃতি দুর্যোগ কবলিত ব

About Me

My photo
সত্য কথা
I have an interest in writing about the real truth of Islam. Study: I have completed BSC Engineering.