সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নাস্তিকদের নাস্তিক হওয়ার কারণগুলো কি কি? [৪টি বক্তব্য]

1. প্রথম নাস্তিকের বক্তব্য:

নাস্তিকের জবাব-1


প্রথম বক্তব্যের জবাব:

মানুষের দেখার একটি নির্দিষ্ট সীমা আছে যেমন সব মানুষই এক থেকে তিন ডাইমেনশন পর্যন্ত যে কোন জিনিসের অস্তিত্ব দেখতে পারে. এইরকম আরো অনেক ডাইমেনশন আছে যেমন four ডাইমেনশন থেকে আনলিমিটেড ডাইমেনশন. 

উদাহরণস্বরূপ ওয়ান  ডাইমেনশন এবং two ডাইমেনশনের কোন  প্রাণী three ডাইমেনসনের কোন  প্রাণীকে দেখতে পারবে না কিন্তু three ডাইমেনশন এর কোন  প্রাণী,  two ডাইমেনশন এবং one  ডাইমেনশনের  প্রাণীকে দেখতে পারবে.

মানুষের দেখার সীমা three ডাইমেনশন পর্যন্ত তাই upper and unlimited ডাইমেনশনের  কোন কিছুর অস্তিত্ব মানুষ দেখতে পারবে না.

N.B: সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা এতই শক্তিশালী যে তিনি এই ডাইমেনশনের ঊর্ধ্বে. তাই কোন মানুষের পক্ষে তাকে সরাসরি দেখা সম্ভব নয় কিন্তু ডাইমেনশনের ঊর্ধ্বে হওয়ার কারণে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা সবাইকেই পর্যবেক্ষণ করতে পারেন.

N.B: এটা আমার ব্যক্তিগত যুক্তি আপনি ইচ্ছা করলে আরো গবেষণা করে দেখতে পারেন. ধন্যবাদ.

মানুষের মস্তিষ্ক আরাম প্রিয় এবং সুন্দর জিনিসের প্রতি আকর্ষণ বেশি থাকে. আপনার যদি সৃষ্টিকর্তার ভয় থাকে তাহলে আপনি খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকবেন আর আপনি যদি সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস না করেন তাহলে  আপনি কোন না কোন সময় মস্তিষ্কের আরামের জন্য খারাপ কাজ করে ফেলতে পারেন.

Just এতোটুকুই চিন্তা করেন, মরে যাওয়ার পর আপনি যদি দেখেন  সৃষ্টিকর্তা নেই তাহলে আস্তিক এবং নাস্তিক সবাই বেঁচে যাবে কিন্তু যদি দেখেন যে সৃষ্টিকর্তা আছেন তাহলে আস্তিকরা বেঁচে যাবে এবং নাস্তিকরা কঠিন বিপদে পড়বে.

তাহলে বুদ্ধিমানের কাজ কি হবে আপনি ইচ্ছা করলে এ বিষয়ে চিন্তা করতে পারেন ধন্যবাদ.

2. দ্বিতীয় নাস্তিকের বক্তব্য:

নাস্তিকের জবাব-2

দ্বিতীয়
বক্তব্যের জবাব:


সৃষ্টিকর্তা যুগে যুগে অনেক বার্তাবাহক অতীতে পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে. ইসলাম ধর্ম মতে তারা নবী ছিলেন. অন্যান্য ধর্ম মতে তারা সাধু অথবা অবতার (হিন্দু ধর্ম মতে) হতে পারেন (এটা জাস্ট আমার ধারণা মাত্র সঠিক হতে পারে অথবা নাও হতে পারে). 

আমার ধারণা মতে, ধর্ম প্রচার করার জন্য, অতীতে অসংখ্য বার্তা বাহক এসেছিলেন বিভিন্ন অঞ্চল বা গোষ্ঠীর জন্য.

এই সকল বার্তা বাহক কিন্তু এক সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকেই এসেছিলেন ধর্ম প্রচার করার জন্য.

যুগে যুগে এই মহান ব্যক্তিরা এসেছিলেন ধর্ম প্রচার করার জন্য এবং তারা হতে পারেন রাম, কৃষ্ণ, গৌতম বুদ্ধ, এবং আরো  অনেক ধর্মপ্রচারক. (এটা আমার একান্তই ব্যক্তিগত ধারণা,  এই ধারণাটি সত্য হতে পারে নাও হতে পারে).

পরিশেষে বলা যায়, সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা হয়তো অতীতে অনেক  বার্তাবাহক অথবা  জ্ঞানী লোক পাঠিয়েছিলেন ধর্ম প্রচার করার জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট গোত্র বা শ্রেণীর জন্য.

অতীতের ওই নির্দিষ্ট গোত্রের লোকেরা যদি  তাদের নির্দিষ্ট গোত্রের জন্য যে ধর্ম পেয়েছিল তা যদি না মানে তাহলে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে তারা অপরাধী হতে পারেন.

এখানে লক্ষ্য করেন, এই পৃথিবীর সব মানুষের জন্য কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা একই. কিন্তু মহান সৃষ্টিকর্তা অতীতের বিভিন্ন গোত্র এবং  শ্রেণীর জন্য ধর্ম পাঠিয়ে ছিলেন বার্তাবহকদের মাধ্যমে.

অতীতের বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা যদি প্রেরিত ধর্ম গুলো ঠিকমতো পালন না করে থাকে তাহলে তাদেরকে অবশ্যই মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট জবাবদিহি করতে হবে.

N.B: শয়তান (ইবলিশ, খারাপ শক্তি) কিন্তু এই পৃথিবীতে মানুষের বসবাসের শুরু থেকেই (আদিমকাল থেকেই) ছিল এবং সে চেষ্টা করেছিল, বিভিন্ন গোত্রের প্রেরিত ধর্মগুলোকে কিভাবে পরিবর্তন করা যায়. এই কারণে সময়  যাওয়ার সাথে সাথে পৃথিবীতে   মহান সৃষ্টিকর্তার প্রেরিত ধর্ম বিভিন্নভাবে এবং বিভিন্ন  নিয়ম রীতিতে  পরিবর্তন হয়ে গেছে. যেমন: হিন্দু, খৃষ্টান, বৌদ্ধ ধর্ম ইত্যাদি. 

এই কারণে বর্তমানে আমাদের মানুষদের জন্য উচিত, কোনটি সঠিক ধর্ম  সেটি যাচাই করা এবং সেটাই পালন করা. এই কারণে আমি ব্যক্তিগতভাবে ইসলাম ধর্মকে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম মনে করতেছি এবং পালন করার চেষ্টা করতেছি. আপনি কোন ধর্ম পালন করবেন, সেটা আপনার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার. কথা হল,  আপনার সঠিক ধর্মটি পালন করা উচিত. 

সৃষ্টিকর্তা সর্বশেষ বার্তাবাহক হিসাবে মোহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে পাঠিয়েছেন পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য (ইসলাম ধর্ম মতে).

কালের বিবর্তনে সর্বশেষ আসমানী কিতাব হিসাবে সমগ্র মানবজাতির জন্য যে ধর্মটি এসেছে সেটি হচ্ছে ইসলাম ধর্ম.  কিন্তু আমি আপনাকে বলব, কারো কথায় কোন ধর্ম পালন করার দরকার নেই. আগে যাচাই করেন কোন ধর্মটি সর্বশ্রেষ্ঠ, তারপর চেষ্টা করেন ওই ধর্মটি মানার.

এমনও তো হতে পারে মৃত্যুর পর দেখলেন, হাশরের ময়দানে (বিচারের স্থানে) বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা উপস্থিত হয়েছেন  তাদের  নিজেদের আমলের হিসাব (পাপ-পুণ্যের হিসাব) দেয়ার জন্য.

N.B: আপনি যেকোনো ধর্মেরই হন না কেন, আপনি যদি বিশ্বাস করেন সবকিছু সৃষ্টি করেছেন একজন সর্বশক্তিমান (Almighty Creator), তাহলে আপনি বিশ্বাসী বা আস্তিক. আপনি নাস্তিক নন.

আপনি ইচ্ছা করলে এই বিষয়টি নিয়ে আরো গভীরভাবে গবেষণা করতে পারেন. ধন্যবাদ.

3. তৃতীয় নাস্তিকের বক্তব্য:

নাস্তিকের জবাব-3

তৃতীয় বক্তব্যের জবাব:

সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে অতীতে অনেক বার্তাবাহকের [জ্ঞানী লোক, নবী (ইসলাম ধর্ম মতে), ঋষি/ সাধু /সন্ন্যাসী/অবতার (হিন্দু ধর্ম মতে), গৌতম বুদ্ধ (বুদ্ধ ধর্ম মতে)] মাধ্যমে, ধর্ম/সৃষ্টিকর্তার বাণী এসেছিল নির্দিষ্ট শ্রেণী বা জাতিগুলোকে কেন্দ্র করে.

N.B: ঋষি/ সাধু /সন্ন্যাসী/অবতার/গৌতম বুদ্ধ হয়তো মহান সৃষ্টিকর্তার বার্তাবাহক ছিলেন- এটা শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিগত ধারণা মাত্র এবং এই তথ্যটি সত্য হতে পারে আবার নাও হতে পারে.

আপনাকে বুঝতে হবে আদিকাল থেকেই খারাপ শক্তি ( ইবলিশ/ শয়তান)  চেষ্টা করে আসছে কিভাবে ধর্মের মধ্যে ত্রুটি  মেশানো যায়. ফলশ্রুতিতে অতীতের বিভিন্ন গোত্র এবং জাতিগুলোর মধ্যে যে ধর্মগুলো ছিল, সময় যাওয়ার সাথে সাথে ধর্মগুলো বিভিন্ন  ভাবে পরিবর্তিত হয়ে আত্মপ্রকাশ পেয়েছে. শয়তানের প্ররোচনায় মানুষ ভিন্নভাবে ধর্মগুলোকে পালন করতে লাগলো. 

এখানে সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকর্তা চাইলেই এই খারাপ শক্তিকে ( ইবলিশ/ শয়তানকে) বাধা দিতে পারতো যাতে  ধর্মের কোন পরিবর্তন না হয়. কিন্তু  মহান সৃষ্টিকর্তা ইচ্ছা করেই তা করেননি এবং শয়তান বা খারাপ সত্যি কে তিনি সবকিছু করার শক্তি দিয়েছিলেন.

মহান সৃষ্টিকর্তা শয়তানকে এটি করার অনুমতি দিয়েছিলেন কারণ সৃষ্টিকর্তা চেয়েছিলেন মানুষদেরকে পরীক্ষা করার জন্য. 

মানুষদেরকে  মহান সৃষ্টিকর্তা বুদ্ধি বিবেচনা দিয়েছেন যাতে  মানুষেরা সর্বোত্তম ধর্মটি  বাছাই করতে পারে এবং তা  মানতে পারে.

এখানে খেয়াল করে দেখেন, বর্তমানে এই পৃথিবীতে বিভিন্ন ধর্মের জন্য কিন্তু সৃষ্টিকর্তা ভিন্ন ভিন্ন না. মহান সৃষ্টিকর্তা কিন্তু এক ও অদ্বিতীয়. বিভিন্ন গোত্র, জাতি এবং শ্রেণী অনুসারে ধর্মগুলো বিভিন্ন ভাবে ভাগ হয়ে গেছে 

অতীতে বিভিন্ন জাতি এবং গোত্রের মধ্যে যে ধর্মগুলো বিভিন্ন বার্তাবাহকের [জ্ঞানী লোক, নবী (ইসলাম ধর্ম মতে), ঋষি/ সাধু /সন্ন্যাসী/অবতার (হিন্দু ধর্ম মতে), গৌতম বুদ্ধ (বুদ্ধ ধর্ম মতে)] মাধ্যমে এসেছিল, এই বার্তা গুলো সঠিকভাবে মানুষেরা পালন করেছিল কিনা সেটির উপর ভিত্তি করেই অতীতের মৃত মানুষদের পাপ পুণ্য হিসাব করা হবে হাশরের ময়দানে (শেষ বিচারের দিন).

যদি অতীতের মৃত মানুষদের মধ্যে যারা ঠিকমতো সঠিক ধর্ম পালন না করে তাহলে তাদের পাপ হবে. 

মহান সৃষ্টিকর্তা ইচ্ছে করলেই শয়তান বা খারাপ আত্মাকে থামাতে পারেন, পৃথিবীকে বেহেশতময়/স্বর্গময় করতে পারেন. কিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে যদি এই পৃথিবী বেহেশতময়/স্বর্গময় হয় তাহলে মানুষেরা পরীক্ষা কিভাবে দিবে?

দুনিয়া (ইহজীবন/ইহকাল/ মৃত্যুর আগের জীবনকাল) হচ্ছে মানুষের জন্য একটি পরীক্ষা ক্ষেত্র. মহান সৃষ্টিকর্তা মানুষদেরকে ভালো কাজ এবং খারাপ কাজ করার ক্ষমতা দিয়েছেন. যদি কোন মানুষ পরীক্ষায় পাস করতে চায়, তাহলে তাকে তার বুদ্ধি বিবেচনা দিয়ে চিন্তা করতে হবে কিভাবে ভাল কাজ করা যায় এবং মহান সৃষ্টিকর্তার বাণী (আদেশ) সঠিকভাবে পালন করা যায়. 

যদি কোন শক্তিশালী বা ক্ষমতাবান মানুষ, দুর্বল মানুষের উপর অত্যাচার করে তাহলে ওই শক্তিশালী মানুষটি অবশ্যই পাপী.

এবার আসি বর্তমানের মানুষদের পাপ পুণ্য কিভাবে হাশরের ময়দানে (শেষ বিচারের দিন) হিসাব হবে,

বর্তমান পৃথিবীতে মানুষেরা যে ধর্মগুলো পালন করতেছে, তাদেরকে বাছাই করা উচিত সর্বোত্তম ধর্ম কোনটি?

সর্বোত্তম ধর্ম বাছাই করার জন্য আপনাকে হয়তো গবেষণা করতে হবে যা আপনার জন্য অসম্ভব কিছু না, just সময় দিতে হবে.

হয়তো দেখবেন মৃত্যুর পর মহান সৃষ্টিকর্তা আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, সর্বোত্তম ধর্মটি তুমি কেন বেছে নেও নাই?

আপনার মনে হতে পারে ইসলাম ধর্মের অনুসারীরা দাবি করতেছে তারাই সর্বোত্তম ধর্ম পালন করতেছে. অথবা খ্রিস্টান, হিন্দু এবং অনন্য ধর্মাবলম্বীরা মনে করতে পারে, তারা সবাই যে যার যার ধর্ম পালন করতেছে তা সর্বোত্তম.

এই ক্ষেত্রে আমি বলব আপনি নিরপেক্ষভাবে বেছে নিন আপনার নিজের বুদ্ধি, বিবেচনা ও মেধা দিয়ে এবং সর্বোত্তম ধর্মটি পালন করা শুরু করুন. 

মহান সৃষ্টিকর্তা এই বিষয়টি আপনাকে প্রথমে জিজ্ঞেস করতে পারেন যে, আপনার মেধা  সর্বোত্তম ধর্ম বাছাই করার কাজে ব্যবহৃত হয়েছে কিনা.

আপনি যেকোনো ধর্মেরই অনুসারী হন না কেন অন্ধভাবে কোন ধর্মকে বিশ্বাস করা ঠিক হবে না. আপনার উচিত হবে সর্বোত্তম ধর্মটি বাছাই করে সেটি মানার চেষ্টা করা.

ঠিক এই বিষয়টি মহা সৃষ্টিকর্তা আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন.

N.B: ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, বর্তমানে সকল মানুষের জন্য মুসলিম ধর্মকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে এবং হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম হলেন  সৃষ্টিকর্তার সর্বশেষ বার্তাবাহক. আমি ব্যক্তিগতভাবে মুসলিম ধর্মকে সর্বোত্তম ধর্ম  হিসাবে মেনে নিয়েছি এবং পালন করার চেষ্টা করতেছি এবং এই বিষয়টি একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত.

N.B: আপনি মনে করতে পারেন পৃথিবীর কোন ধর্মই ঠিক না এবং এই ধর্মগুলো ত্রুটিপূর্ণ. এই ক্ষেত্রে আমি বলব যে আপনাকে সবার প্রথম এই ত্রুটিগুলো নিয়ে একদম নিরপেক্ষভাবে গবেষণা করা উচিত. 

মহান সৃষ্টি কর্তার বাণীগুলি অবশ্যই আপনাকে পালন করতে হবে সেই জন্য আপনার উচিত মহান সৃষ্টিকর্তার বাণী গুলি খুঁজে বের করে সেগুলি পালন করা. 

যদি আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় না থাকে তাহলে আপনার উচিত প্রধান ধর্মগুলো গবেষণা করা, যাতে মৃত্যুর পর অন্ততপক্ষে, আপনি মহান সৃষ্টিকর্তাকে বলতে পারেন, আপনি চেষ্টা করেছিলেন সর্বোত্তম ধর্ম বাছাই করার এবং পালন করার. ধন্যবাদ.

4. চতুর্থ নাস্তিকের বক্তব্য:

নাস্তিকের জবাব-4

চতুর্থ
 
বক্তব্যের জবাব:


যদি সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টিকর্তা থাকে তাইলে প্রথম সৃষ্টিকর্তা আর স্রষ্টা থাকে না সৃষ্টির পর্যায় চলে যায়. 

বুঝার সুবিধার জন্য, আপনি সৃষ্টিকর্তাকে unlimited শক্তির মত কল্পনা করতে পারেন যদিও তা বলা ঠিক হবে না, কারণ সৃষ্টিকর্তা তার চেয়েও অনেক বড় কিছু. সৃষ্টিকর্তা সকল শক্তির উৎস. সৃষ্টিকর্তার কোন শুরু নাই শেষ নাই.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কেন ! মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে শিশু ধর্ষক বা শিশু কামী বলা যাবে না!

আমরা যারা মুসলিম সবাই এই একটি কথা অবশ্যই বিশ্বাস করি সেটা হল পবিত্র কুরআনে যা বলা আছে তা একশত ভাগ সত্য। কিন্তু অবশ্যই কর্তব্য এমন একটি কাজ আছে যেটা করার সময় আমাদের  অনেকেরই হয় না আমাদের দৈনন্দিন ব‍্যস্ততার কারণে। আর সেই কাজটি হল পবিত্র কুরআনে যা বলা আছে তা বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগ করা। পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদীস ঠিক মত না জানার কারণে আমরা অনেকেই বিভ্রান্তির শিকার হই কিছু মানুষের দ্বারা যারা পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদীস দিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, আমরা সঠিকভাবে পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদীস না জানার কারণে এই বিভ্রান্তির শিকার হই। অনেক বিভ্রান্তিকর প্রশ্নগুলোর মধ‍্যে একটি স্পর্শকাতর প্রশ্ন যেটা ইনশাআল্লাহ আজকে আলোচনা করব। প্রশ্নঃ মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কি শিশু ধর্ষক বা শিশু কামী ছিলেন? উত্তরঃ মূল বক্তব্যঃ রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের সময় সাহাবীর সংখ্যা ছিল প্রায় এক লাখ চৌদ্দ হাজার। তাদের সব সময় রাসূল (সা.) এর কাছে থেকে তাঁর সকল কথা শুনা বা সকল কাজ দেখা সম্ভব ছিল না। তাই অধিকাংশ সাহাবীর জানা থাকা হাদীসের মধ্যে কিছু ছিল রাসূল (সা.) এর নিকট থেকে সরাসরি শুনা বা...

ইসলাম ধর্ম দাসপ্রথাকে কিভাবে মানবিক করেছে

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকেরই ইসলামে দাস দাসী নিয়ে খারাপ ধারণা আছে আবার এমন অনেকে আছেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন থেকে জবাব দিতে পারি না এমনকি হুজুরের জবাবেও মনে শান্তি পাই না। এর ফলে আস্তে আস্তে অনেকেরই ইসলামের প্রতি বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। তারা ধৈর্য্য সহকারে এই লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইল আশা করি এ বিষয়ে পরিস্কার ধারণা আসবে এবং inshAllah, অন্যকে বিভ্রান্ত থেকে বাঁচাতে পারবেন। ইসলাম দাস প্রথার প্রবর্তক নয়; খুব সম্ভবত সেই আদিম বর্বরতার যুগে দাস প্রথার উৎপত্তি হয়েছিল এবং তা লিখিত ইতিহাসের পুরোটা ব্যাপী বিশ্বের প্রধান প্রধান সভ্যতার বৈশিষ্ট্য ছিল। দাস প্রথা ব্যাবিলনিয়া এবং মেসোপটেমিয়াতেও প্রচলিত ছিল। খ্রিস্টান ধর্মের আবির্ভাবের পূর্বে প্রাচীন মিশর, গ্রীস ও রোমিও দাস প্রথা বিশেষ লক্ষনীয় ছিল। দাসত্ব (ইংরেজি: Slavery বা Thralldom) বলতে বোঝায় কোনো মানুষকে জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করা, এবং এক্ষেত্রে কোনো মানুষকে অন্য মানুষের অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। সাধারণত দুই ভাবে দাস দাসী হয়। যেমনঃ ✅ একঃ অভাব, দুর্ভিক্ষ, নদী ভাঙন, পরিবারের উপার্জনকারী সদস্যের মৃত্যু প্রভৃতি দুর্যোগ কবলিত ব্...

কেন সৃষ্টিকর্তার বা আল্লাহর বা ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ জানা জরুরী?

অনেকেই আপনাকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারে এমনকি আপনার নিজেরও হঠাৎ সন্দেহ হতে পারে সৃষ্টিকর্তা আছে কি নাই। 💎 ইসলামিক যুক্তিঃ 💭 হযরত ইমাম আবু হানিফার একটা ঘটনা, একদিন বিতর্ক অনুষ্ঠানে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণের উদ্দেশ্যে তাকে দাওয়াত করা হয়েছিল তিনি নির্ধারিত সময়ের অনেক বিলম্বে সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ায় তাকে প্রশ্ন করা হলো, আপনি এত দেরিতে কেন আসলেন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন আমার আসার পথে একটা নদী থাকায় ও নদীতে কোনো নৌকা ও মাঝি না থাকায় অনেক অপেক্ষা করার পর দেখলাম হঠাৎ একটা গাছ আপনি-আপনি মাটিতে কয়েক খন্ড হয়ে পড়ে গেল তা আপনি-আপনি তখতাতে পরিণত হয়ে জোড়া লেগে নৌকা হয়ে আমাকে নদী পার করে আমাকে এ পার নামিয়ে দিল এ কারণে আমার আসতে অনাকাঙ্খিত দেরি হয়ে গেছে। এ জবাব শুনার পর সভায় উপস্থিত এক নাস্তিক পন্ডিত প্রশ্ন করেন আপনি তো একজন পাগল ছাড়া আর কিছু নন। এরূপ অসম্ভব অবাস্তব কোন কর্মকান্ড কি কোন দিন কোথা ও কোন সুদক্ষ কর্মকার ব্যতীত হতে পারে? নাস্তিক পন্ডিতদের এ কথার জবাবে  ইমাম হানিফা (রহঃ) বললেন তাহলে আপনি বলুন সামান্য একখানা নৌকা তৈরি বা সৃষ্টি হতে যদি কোন সুদক্ষ মিস্ত্রি বা কর্মকার ছাড়া সম্ভব না হয় তাহ...

কে গাণিতিক হিসাবে এগিয়ে? সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী না সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসী! [অংক ও সমাধান]

কাল্পনিক দুইটি নাম (রাহি, মাশা) দিয়ে একটি অংক বুঝার চেষ্টা করি যেখানে আমরা বুঝতে পারব সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ও সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসীর মধ্যে কে বেশি লাভবানঃ ধরি, মাশা = সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসী রাহি = সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী মাশার স্ত্রীর নাম   = মাহি রাহির স্ত্রীর নাম   = রানু বি. দ্রঃ রাহি ও মাশা একটি কোম্পানিতে প্রায় একই বয়সে (ধরি, ২৫ বছর বয়সে) একই সাথে খুব ছোট পোস্টে যোগদান  করে (কারণ তাদের পড়াশুনা খুবই কম ছিল) এবং তাদের বেতন সমান। পড়াশুনা খুবই কম থাকার কারণে তাদের বছরের পর বছর কাজ করার পরেও কোন প্রমোশন হচ্ছিল না। সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করার ফলে কোন ভয় না করে মাশা চাকরির পাশাপাশি অল্প কিছু টাকা দিয়ে সুদের ব‍্যবসা সহ লোক ঠকানোর কাজ শুরু করল এবং এই অবৈধ ব‍্যবসা থেকে আস্তে আস্তে লাভও হতে শুরু করল। অপরদিকে, সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করার কারণে রাহি চাকরির পাশাপাশি নিজে কষ্ট করে হলেও গরিবদের সাহায্য করত। রানু ও মাহি বান্ধবী। হঠাৎ তারা কি মনে করে একটি সিদ্ধান্তে আসল। সিদ্ধান্তটি হল, যদি বেঁচে থাকে জীবনের শেষ পর্যায়ে  তারা যাচাই করবে তাদের স্বামীদের মধ‍্যে কার ক্রেডি...

আমার সম্পর্কে

আমার ফটো
সত্য কথা
I have an interest in writing about the real truth of Islam. Study: I have completed BSC Engineering.