সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নবী মোহাম্মদ (সা.) সাফিয়া (রা.)‑কে জোর করে বিয়ে করেছেন?

 Answer: নবী মোহাম্মদ (সা.) সাফিয়া (রা.)‑কে জোর করে বিয়ে করেননি।

হাদিস:

(حديث مرفوع) حَدَّثَنَا  عَبْدُ الرَّزَّاقِ ، حَدَّثَنَا  مَعْمَرٌ ، قَالَ: سَمِعْتُ  ثَابِتًا  يُحَدِّثُ، عَنْ  أَنَسٍ ، قَالَ: لَمَّا افْتَتَحَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَيْبَرَ، قَالَ الْحَجَّاجُ بْنُ عِلَاطٍ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّ لِي بِمَكَّةَ مَالًا، وَإِنَّ لِي بِهَا أَهْلًا، وَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ آتِيَهُمْ، فَأَنَا فِي حِلٍّ إِنْ أَنَا نِلْتُ مِنْكَ أَوْ قُلْتُ شَيْئًا؟" فَأَذِنَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَقُولَ مَا شَاءَ"، فَأَتَى امْرَأَتَهُ حِينَ قَدِمَ، فَقَالَ: اجْمَعِي لِي مَا كَانَ عِنْدَكِ، فَإِنِّي أُرِيدُ أَنْ أَشْتَرِيَ مِنْ غَنَائِمِ مُحَمَّدٍ وَأَصْحَابِهِ، فَإِنَّهُمْ قَدْ اسْتُبِيحُوا، وَأُصِيبَتْ أَمْوَالُهُمْ، قَالَ فَفَشَا ذَلِكَ فِي مَكَّةَ، فَانْقَمَعَ الْمُسْلِمُونَ، وَأَظْهَرَ الْمُشْرِكُونَ فَرَحًا وَسُرُورًا، قَالَ: وَبَلَغَ الْخَبَرُ الْعَبَّاسَ فَعَقِرَ، وَجَعَلَ لَا يَسْتَطِيعُ أَنْ يَقُومَ، قَالَ مَعْمَرٌ: فَأَخْبَرَنِي عُثْمَانُ الْجَزَرِيُّ عَنْ مِقْسَمٍ، قَالَ: فَأَخَذَ ابْنًا لَهُ، يُقَالُ لَهُ: قُثَمُ، فَاسْتَلْقَى فَوَضَعَهُ عَلَى صَدْرِهِ، وَهُوَ يَقُولُ: حِبِّي قُثَمْ شَبِيهُ ذِي الْأَنْفِ الْأَشَمْ نَبيِّ ذِي النِّعَمْ بَرْغَمِ مَنْ رَغَمْ، قَالَ ثَابِتٌ، عَنْ أَنَسٍ: ثُمَّ أَرْسَلَ غُلَامًا إِلَى الْحَجَّاجِ بْنِ عِلَاطٍ: وَيْلَكَ، مَا جِئْتَ بِهِ وَمَاذَا تَقُولُ؟ فَمَا وَعَدَ اللَّهُ خَيْرٌ مِمَّا جِئْتَ بِهِ، قَالَ الْحَجَّاجُ بْنُ عِلَاطٍ لِغُلَامِهِ: اقْرَأْ عَلَى أَبِي الْفَضْلِ السَّلَامَ، وَقُلْ لَهُ: فَلْيَخْلُ لِي فِي بَعْضِ بُيُوتِهِ لِآتِيَهُ، فَإِنَّ الْخَبَرَ عَلَى مَا يَسُرُّهُ، فَجَاءَ غُلَامُهُ، فَلَمَّا بَلَغَ بَابَ الدَّارِ، قَالَ: أَبْشِرْ يَا أَبَا الْفَضْلِ، قَالَ: فَوَثَبَ الْعَبَّاسُ فَرَحًا حَتَّى قَبَّلَ بَيْنَ عَيْنَيْهِ، فَأَخْبَرَهُ مَا قَالَ الْحَجَّاجُ، فَأَعْتَقَهُ، قَالَ: ثُمَّ جَاءَهُ الْحَجَّاجُ، فَأَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ افْتَتَحَ خَيْبَرَ، وَغَنِمَ أَمْوَالَهُمْ، وَجَرَتْ سِهَامُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ فِي أَمْوَالِهِمْ، وَاصْطَفَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ فَاتَّخَذَهَا لِنَفْسِهِ، وَخَيَّرَهَا أَنْ يُعْتِقَهَا وَتَكُونَ زَوْجَتَهُ، أَوْ تَلْحَقَ بِأَهْلِهَا، فَاخْتَارَتْ أَنْ يُعْتِقَهَا وَتَكُونَ زَوْجَتَهُ، وَلَكِنِّي جِئْتُ لِمَالٍ كَانَ لِي هَاهُنَا أَرَدْتُ أَنْ أَجْمَعَهُ فَأَذْهَبَ بِهِ، فَاسْتَأْذَنْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَأَذِنَ لِي أَنْ أَقُولَ مَا شِئْتُ، فَأَخْفِ عَنِّي ثَلَاثًا، ثُمَّ اذْكُرْ مَا بَدَا لَكَ، قَالَ: فَجَمَعَتِ امْرَأَتُهُ مَا كَانَ عِنْدَهَا مِنْ حُلِيٍّ وَمَتَاعٍ، فَجَمَعَتْهُ فَدَفَعَتْهُ إِلَيْهِ، ثُمَّ انشَمَرَ بِهِ، فَلَمَّا كَانَ بَعْدَ ثَلَاثٍ أَتَى الْعَبَّاسُ امْرَأَةَ الْحَجَّاجِ، فَقَالَ: مَا فَعَلَ زَوْجُكِ؟ فَأَخْبَرَتْهُ أَنَّهُ قَدْ ذَهَبَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا، وَقَالَتْ: لَا يُخْزِيكَ اللَّهُ يَا أَبَا الْفَضْلِ، لَقَدْ شَقَّ عَلَيْنَا الَّذِي بَلَغَكَ، قَالَ: أَجَلْ لَا يُخْزِنِي اللَّهُ، وَلَمْ يَكُنْ بِحَمْدِ اللَّهِ إِلَّا مَا أَحْبَبْنَا فَتَحَ اللَّهُ خَيْبَرَ عَلَى رَسُولِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَجَرَتْ فِيهَا سِهَامُ اللَّهِ، وَاصْطَفَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ لِنَفْسِهِ، فَإِنْ كَانَتْ لَكِ حَاجَةٌ فِي زَوْجِكِ فَالْحَقِي بِهِ، قَالَتْ: أَظُنُّكَ وَاللَّهِ صَادِقًا، قَالَ: فَإِنِّي صَادِقٌ، الْأَمْرُ عَلَى مَا أَخْبَرْتُكِ، فَذَهَبَ حَتَّى أَتَى مَجَالِسَ قُرَيْشٍ وَهُمْ يَقُولُونَ: إِذَا مَرَّ بِهِمْ لَا يُصِيبُكَ إِلَّا خَيْرٌ يَا أَبَا الْفَضْلِ، قَالَ لَهُمْ: لَمْ يُصِبْنِي إِلَّا خَيْرٌ بِحَمْدِ اللَّهِ، قَدْ أَخْبَرَنِي الْحَجَّاجُ بْنُ عِلَاطٍ، أَنَّ خَيْبَرَ قَدْ فَتَحَهَا اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ وَجَرَتْ فِيهَا سِهَامُ اللَّهِ، وَاصْطَفَى صَفِيَّةَ لِنَفْسِهِ، وَقَدْ سَأَلَنِي أَنْ أُخْفِيَ عَلَيْهِ ثَلَاثًا، وَإِنَّمَا جَاءَ لِيَأْخُذَ مَالَهُ، وَمَا كَانَ لَهُ مِنْ شَيْءٍ هَاهُنَا، ثُمَّ يَذْهَبَ، قَالَ: فَرَدَّ اللَّهُ الْكَآبَةَ الَّتِي كَانَتْ بِالْمُسْلِمِينَ عَلَى الْمُشْرِكِينَ، وَخَرَجَ الْمُسْلِمُونَ، وَمَنْ كَانَ دَخَلَ بَيْتَهُ مُكْتَئِبًا حَتَّى أَتَوْا الْعَبَّاسَ، فَأَخْبَرَهُمْ الْخَبَرَ، فَسُرَّ الْمُسْلِمُونَ، وَرَدَّ مَا كَانَ مِنْ كَآبَةٍ، أَوْ غَيْظٍ، أَوْ حُزْنٍ عَلَى الْمُشْرِكِينَ.
مسند احمد حدیث: 12409 عربی حدیث: 

⬇️

وَاصْطَفَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَيٍّ فَاتَّخَذَهَا لِنَفْسِهِ، وَخَيَّرَهَا أَنْ يُعْتِقَهَا وَتَكُونَ زَوْجَتَهُ، أَوْ تَلْحَقَ بِأَهْلِهَا، فَاخْتَارَتْ أَنْ يُعْتِقَهَا وَتَكُونَ زَوْجَتَهُ

⬇️

...রাসূলুল্লাহ ﷺ সাফিয়াহ বিনতে হুয়াইকে নিজের জন্য বাছাই করে নিয়েছেন এবং তাকে মুক্তি দিয়ে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করার অথবা তার পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার অধিকার দিয়েছেন। তিনি মুক্তি পেয়ে তাঁর স্ত্রী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।...
(মুসনাদ আহমদ, হাদীস ১২৪০৯) from al-hadees.com


নবী মোহাম্মদ (সা.) সাফিয়া (রা.) কে ঘৃণা করতেন?

Answer: নবী মুহাম্মদ (সা.) কখনোই সাফিয়া (রা.)‑কে ঘৃণা করতেন না

হাদিস:

...আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাঁর পেছনে (সাওয়ারীর পিঠে) সাফিয়্যা (রাঃ)-এর জন্য একটি চাঁদর বিছাতে দেখেছি। এরপর তিনি তাঁর সাওয়ারীর উপর হাঁটুদয় মেলে বসতেন আর সাফিয়্যা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাঁটুর উপর পা রেখে সাওয়ারীতে আরোহণ করতেন।-  ইসলামিক ফাউন্ডেশন নাম্বারঃ ৩৮৯৬, আন্তর্জাতিক নাম্বারঃ ৪২১১, সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

হাদিস:

"It reached Safiyyah that Hafsah said: 'The daughter of a Jew' so she wept. Then the Prophet (ﷺ) entered upon her while she was crying, so he said: 'What makes you cry?' She said: 'Hafsah said to me that I am the daughter of a Jew.' So the Prophet (ﷺ) said: 'And you are the daughter of a Prophet, and your uncle is a Prophet, and you are married to a Prophet, so what is she boasting to you about?' Then he said: 'Fear Allah, O Hafsah.'" - (Jami` at-Tirmidhi 3894, from sunnah.com)

হাদিস:

৬১৯২-[৯] আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা.) এর স্ত্রী সফিয়্যাহ্-এর কাছে এ কথাটি পৌছেছে যে, হাফসাহ (রাঃ) তাঁকে ইয়াহুদী কন্যা বলেছেন। এ কথা শুনে সফিয়্যাহ কাঁদতে লাগলেন। এমন সময় নবী (সা.) তাঁর কাছে গিয়ে দেখলেন, তিনি কাঁদছেন। প্রশ্ন করলেন কি কারণে তুমি কাঁদছ? সফিয়্যাহ্ (রাঃ) বললেন, হাফসাহ আমাকে ইয়াহুদী কন্যা বলেছে। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি তো এক নবীর কন্যা, আরেক নবী তোমার চাচা এবং তুমি আরেক নবীর স্ত্রী। অতএব হাফসা কোন কথায় তোমার ওপর গর্ব করতে পারে? অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, হে হাফসা! আল্লাহকে ভয় কর। (তিরমিযী ও নাসায়ী) মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
সহীহ: তিরমিযী ৩৮৯৪, মুসান্নাফ আবদুর রাযযাক ২০৯২১, মুসনাদে আদ ইবনু হুমায়দ ১২৪৮, আবূ ইয়া'লা ৩৪৩৭, আল মু'জামুল কাবীর লিত্ব তবারানী ১৯৬৭৬।



উপরের হাদীসগুলি নবীর ﷺ‑এর সফিয়া (রা.)‑র প্রতি স্নেহ, সম্মানের স্পষ্ট প্রতীক।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কেন ! মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কে শিশু ধর্ষক বা শিশু কামী বলা যাবে না!

আমরা যারা মুসলিম সবাই এই একটি কথা অবশ্যই বিশ্বাস করি সেটা হল পবিত্র কুরআনে যা বলা আছে তা একশত ভাগ সত্য। কিন্তু অবশ্যই কর্তব্য এমন একটি কাজ আছে যেটা করার সময় আমাদের  অনেকেরই হয় না আমাদের দৈনন্দিন ব‍্যস্ততার কারণে। আর সেই কাজটি হল পবিত্র কুরআনে যা বলা আছে তা বাস্তবিক জীবনে প্রয়োগ করা। পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদীস ঠিক মত না জানার কারণে আমরা অনেকেই বিভ্রান্তির শিকার হই কিছু মানুষের দ্বারা যারা পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদীস দিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রশ্ন করে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই যে, আমরা সঠিকভাবে পবিত্র কুরআন ও সহিহ হাদীস না জানার কারণে এই বিভ্রান্তির শিকার হই। অনেক বিভ্রান্তিকর প্রশ্নগুলোর মধ‍্যে একটি স্পর্শকাতর প্রশ্ন যেটা ইনশাআল্লাহ আজকে আলোচনা করব। প্রশ্নঃ মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সঃ) কি শিশু ধর্ষক বা শিশু কামী ছিলেন? উত্তরঃ মূল বক্তব্যঃ রাসূল (সা.) এর ইন্তেকালের সময় সাহাবীর সংখ্যা ছিল প্রায় এক লাখ চৌদ্দ হাজার। তাদের সব সময় রাসূল (সা.) এর কাছে থেকে তাঁর সকল কথা শুনা বা সকল কাজ দেখা সম্ভব ছিল না। তাই অধিকাংশ সাহাবীর জানা থাকা হাদীসের মধ্যে কিছু ছিল রাসূল (সা.) এর নিকট থেকে সরাসরি শুনা বা...

ইসলাম ধর্ম দাসপ্রথাকে কিভাবে মানবিক করেছে

আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকেরই ইসলামে দাস দাসী নিয়ে খারাপ ধারণা আছে আবার এমন অনেকে আছেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন থেকে জবাব দিতে পারি না এমনকি হুজুরের জবাবেও মনে শান্তি পাই না। এর ফলে আস্তে আস্তে অনেকেরই ইসলামের প্রতি বিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। তারা ধৈর্য্য সহকারে এই লেখাটি পড়ার অনুরোধ রইল আশা করি এ বিষয়ে পরিস্কার ধারণা আসবে এবং inshAllah, অন্যকে বিভ্রান্ত থেকে বাঁচাতে পারবেন। ইসলাম দাস প্রথার প্রবর্তক নয়; খুব সম্ভবত সেই আদিম বর্বরতার যুগে দাস প্রথার উৎপত্তি হয়েছিল এবং তা লিখিত ইতিহাসের পুরোটা ব্যাপী বিশ্বের প্রধান প্রধান সভ্যতার বৈশিষ্ট্য ছিল। দাস প্রথা ব্যাবিলনিয়া এবং মেসোপটেমিয়াতেও প্রচলিত ছিল। খ্রিস্টান ধর্মের আবির্ভাবের পূর্বে প্রাচীন মিশর, গ্রীস ও রোমিও দাস প্রথা বিশেষ লক্ষনীয় ছিল। দাসত্ব (ইংরেজি: Slavery বা Thralldom) বলতে বোঝায় কোনো মানুষকে জোরপূর্বক শ্রম দিতে বাধ্য করা, এবং এক্ষেত্রে কোনো মানুষকে অন্য মানুষের অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে গণ্য করা হয়। সাধারণত দুই ভাবে দাস দাসী হয়। যেমনঃ ✅ একঃ অভাব, দুর্ভিক্ষ, নদী ভাঙন, পরিবারের উপার্জনকারী সদস্যের মৃত্যু প্রভৃতি দুর্যোগ কবলিত ব্...

কেন সৃষ্টিকর্তার বা আল্লাহর বা ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রমাণ জানা জরুরী?

অনেকেই আপনাকে বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারে এমনকি আপনার নিজেরও হঠাৎ সন্দেহ হতে পারে সৃষ্টিকর্তা আছে কি নাই। 💎 ইসলামিক যুক্তিঃ 💭 হযরত ইমাম আবু হানিফার একটা ঘটনা, একদিন বিতর্ক অনুষ্ঠানে আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণের উদ্দেশ্যে তাকে দাওয়াত করা হয়েছিল তিনি নির্ধারিত সময়ের অনেক বিলম্বে সভাস্থলে উপস্থিত হওয়ায় তাকে প্রশ্ন করা হলো, আপনি এত দেরিতে কেন আসলেন? তিনি উত্তর দিয়েছিলেন আমার আসার পথে একটা নদী থাকায় ও নদীতে কোনো নৌকা ও মাঝি না থাকায় অনেক অপেক্ষা করার পর দেখলাম হঠাৎ একটা গাছ আপনি-আপনি মাটিতে কয়েক খন্ড হয়ে পড়ে গেল তা আপনি-আপনি তখতাতে পরিণত হয়ে জোড়া লেগে নৌকা হয়ে আমাকে নদী পার করে আমাকে এ পার নামিয়ে দিল এ কারণে আমার আসতে অনাকাঙ্খিত দেরি হয়ে গেছে। এ জবাব শুনার পর সভায় উপস্থিত এক নাস্তিক পন্ডিত প্রশ্ন করেন আপনি তো একজন পাগল ছাড়া আর কিছু নন। এরূপ অসম্ভব অবাস্তব কোন কর্মকান্ড কি কোন দিন কোথা ও কোন সুদক্ষ কর্মকার ব্যতীত হতে পারে? নাস্তিক পন্ডিতদের এ কথার জবাবে  ইমাম হানিফা (রহঃ) বললেন তাহলে আপনি বলুন সামান্য একখানা নৌকা তৈরি বা সৃষ্টি হতে যদি কোন সুদক্ষ মিস্ত্রি বা কর্মকার ছাড়া সম্ভব না হয় তাহ...

কে গাণিতিক হিসাবে এগিয়ে? সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী না সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসী! [অংক ও সমাধান]

কাল্পনিক দুইটি নাম (রাহি, মাশা) দিয়ে একটি অংক বুঝার চেষ্টা করি যেখানে আমরা বুঝতে পারব সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী ও সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসীর মধ্যে কে বেশি লাভবানঃ ধরি, মাশা = সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসী রাহি = সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী মাশার স্ত্রীর নাম   = মাহি রাহির স্ত্রীর নাম   = রানু বি. দ্রঃ রাহি ও মাশা একটি কোম্পানিতে প্রায় একই বয়সে (ধরি, ২৫ বছর বয়সে) একই সাথে খুব ছোট পোস্টে যোগদান  করে (কারণ তাদের পড়াশুনা খুবই কম ছিল) এবং তাদের বেতন সমান। পড়াশুনা খুবই কম থাকার কারণে তাদের বছরের পর বছর কাজ করার পরেও কোন প্রমোশন হচ্ছিল না। সৃষ্টিকর্তাকে অবিশ্বাস করার ফলে কোন ভয় না করে মাশা চাকরির পাশাপাশি অল্প কিছু টাকা দিয়ে সুদের ব‍্যবসা সহ লোক ঠকানোর কাজ শুরু করল এবং এই অবৈধ ব‍্যবসা থেকে আস্তে আস্তে লাভও হতে শুরু করল। অপরদিকে, সৃষ্টিকর্তাকে বিশ্বাস করার কারণে রাহি চাকরির পাশাপাশি নিজে কষ্ট করে হলেও গরিবদের সাহায্য করত। রানু ও মাহি বান্ধবী। হঠাৎ তারা কি মনে করে একটি সিদ্ধান্তে আসল। সিদ্ধান্তটি হল, যদি বেঁচে থাকে জীবনের শেষ পর্যায়ে  তারা যাচাই করবে তাদের স্বামীদের মধ‍্যে কার ক্রেডি...

আমার সম্পর্কে

আমার ফটো
সত্য কথা
I have an interest in writing about the real truth of Islam. Study: I have completed BSC Engineering.